সৌদিতে কাফালা পরিবর্তনের নিঃশর্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার!

কাফালা পরিবর্তনের নিঃশর্ত অনোদন দিয়েছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবে বিদেশী কর্মীদের কোন রকম শর্ত ছাড়াই বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানে কাফালা পরিবর্তন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সৌদি সরকারের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে আজ এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

করোনভাইরাস পরিস্থিতিতে নতুন যে ব্যবস্থাটি চালু করা হয়েছিল তা এখন থেকে “আজির হায়ারিং” পোর্টালের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। এই পোর্টালটি যেকোন বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকারী এবং কর্মচারীদের চুক্তি সম্পর্কে দেখাশোনা করে।

সৌদিতে কফিল পরিবর্তনের নিঃশর্ত অনুমোদন

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ধরণ ছাড়াই বিদেশী কর্মীদের কাফালা (স্পনসরশিপ পরিবর্তন) করে নিতে পারবে। অর্থাৎ এক পেশার লোক অন্য পেশাতে কাজ করতে না পারার বিধিনিষেদধটিতে সাময়িকভাবে শিথিলতা দেয়া হয়েছে।

চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত একাধিক উদ্যোগের মধ্য এটি উল্লেখযোগ্য, কারণ এই উদ্যোগের ফলে এখন থেকে কর্মীদের কাজ করা আরো সহজ হয়ে যাবে, সেই সাথে শ্রমবাজারের জনবল থেকে বাজার অর্থনীতির উপকৃত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সৌদি মন্ত্রণালয় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল আজির প্রোগ্রামের মাধ্যমে শ্রমবাজার থেকে লোক নেয়া শুরু হবে। এতে করে শ্রমিকের অভাবে আর্থিক ক্ষতিতে পরা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেদের শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে। এতে করে অসংখ্য শ্রমিকদেরও নতুন করে কাজের সুযোগ তৈরি হবে।

শ্রমিকের প্রয়োজন হয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এবং তাদের কাজের পদ্ধতি সহজ করার জন্য আজিয়া প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন থেকে এই নিয়োগ পরিষেবাটি চালু করা হবে। বেসরকারী সংস্থাগুলো https://ajeer.qiwa.sa এই লিঙ্কের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরিষেবাটি থেকে উপকৃত হতে পারবেন। কাজের জন্য এখন আর এই মন্ত্রণালয়ের শাখাগুলোতে উপস্থিত হতে হবে না।

সৌদি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান মেয়াদে জনশক্তির উচ্চ চাহিদা অর্জনকারী খাতগুলোতে প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমানে বিদেশী কর্মী সরবরাহ করা। জনবলের উচ্চ চাহিদা রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানে বিদেশী শ্রমিকদের কাজে নিযুক্ত করা। চাহিদা অনুযায়ী বিদেশী শ্রমিক সরবরাহ করার মাধ্যমে এখন থেকে শ্রমিক এবং প্রতিষ্ঠান দুজনেই লাভবান হবেন।

এছাড়া স্পনসরশিপ পরিবর্তনে সৌদি সরকার তাদের পূর্বের অনেক শর্ত শিথিল করেছে। শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র এবং কাজের ধরন যদি একই রকমের হয়, সেক্ষেত্রে নতুন কোন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মরত মোট শ্রমিকদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কর্মচারী সেখানে নতুন করে নিয়োগ দিতে পারবেন।